হোম > ছাপা সংস্করণ

কাজে ধীরগতি, মানুষের দুর্গতি

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণকাজের ধীরগতিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী। তবে সিটি করপোরেশনের মেয়র বলছেন, ‘উন্নয়নকাজ হলে সাধারণ মানুষকে একটু ভোগান্তি মেনে নিতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় অন্তত ২০০ স্থানে উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। শ্রমিকসংকটের কারণে রাস্তার কাজে ধীরগতি হচ্ছে।

তবে চলমান উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে। নগরীর ব্যস্ততম সড়ক দুর্গাবাড়ি ও নতুনবাজার এলাকায় চলমান উন্নয়নকাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

দুর্গাবাড়ি বাইলেন সড়কে ড্রেন নির্মাণকাজের শ্রমিক মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে কাজ শুরু করেছি, শেষ করতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে। ২১৩ ফিট রাস্তার ড্রেন নির্মাণকাজ করছি। আমরা ১২ জন শ্রমিক সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণকাজ করছি। ড্রেনের উচ্চতা ২৬ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২০ ইঞ্চি করা হচ্ছে। কাজ চলমান থাকায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের।’

হোটেল ব্যবসায়ী লিটু সরকার বলেন, ‘কাজ নিয়মমাফিক হলে আমাদের ব্যবসার সমস্যা হতো না। শ্রমিক কম থাকার কারণে ধীরগতিতে কাজ হচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে কাজ করায় একেবারে কাস্টমার দোকানে আসছেন না। সিটি করপোরেশনের এ বিষয়ে তদারকিও আমরা দেখছি না। বেচাবিক্রি কম হওয়ায় কাজের লোকের বেতনও ঠিকমতো দিতে পারছি না। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে, তার ঠিক নেই। রাস্তা ব্লক করে এভাবে কাজ করতে কোথাও দেখি না।’

মুদির দোকানি অখিল চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তার কারণে ৭০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে। কাস্টমার দোকানে আসছেন না। রাস্তার দুই পাশে কাদাযুক্ত ময়লা ফেলায় মানুষ ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। দোকান খুলতে হয়, তাই খুলে বসে আছি। কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই।’

চা দোকানি সুমন মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে লোকজন চা খেতে খুব একটা আসছেন না। রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার কারণে এদিক দিয়ে যেমন গাড়ি চলছে না, ঠিক তেমনি মানুষজনও আসছেন না।’

নতুনবাজার ফলের দোকানি মো. আসাদ বলেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেল কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রোডে ধীরগতির কাজের কারণে শুধু আমরা না সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। রাস্তার মধ্যে ময়লা-আবর্জনা রাখায় মোড় থেকে রেলক্রসিং পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কবে যে আমরা রেহাই পাব, তা বুঝতেছি না।’

ইজিবাইকচালক এমদাদ হোসেন বলেন, ‘বর্ষাকাল শুরু হলেই দেখি শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও ড্রেন সংস্কার করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদেরও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বর্তমানে শহরের বেশির ভাগ রাস্তা ও ড্রেনের উন্নয়নকাজ হচ্ছে। নিয়ম মেনে কাজ না করায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না।’

চলমান উন্নয়নকাজের অঞ্চল-২-এর দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব উন্নয়নকাজে কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে, তা ঈদের আগে শুরু হয়েছিল। ঈদ চলে গেলেও শ্রমিক ঠিকমতো কাজে না আসায় কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম। তবে আশা করছি, অচিরেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামূল হক টিটু বলেন, ‘উন্নয়নকাজ হলে মানুষকে একটু ভোগান্তি মেনে নিতেই হবে। আমরা উন্নয়ন করছি, সাধারণ মানুষের জন্যেই। তবে চেষ্টা করছি, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ