ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌরসভার হরিবাড়ি এলাকায় থেকে গৃহবধূ সাসাতি রায় চৈতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চৈতির শ্বশুর বাড়ির লোকেদের দাবি, তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূর বাবা। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গৃহবধূ চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে।
ঘটনার পর পুলিশ শ্বশুর সমির চন্দ্র মজুমদার ও স্বামী মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান।
ওই গৃহবধূর পিতা সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, ‘মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী দীর্ঘ দিন যৌতুকের দাবি করে তাঁকে নির্যাতন করতেন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে তাঁরা হত্যা করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
শাওন মুজমদার বলেন, ‘আমি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রাত ১টায় বাসায় ফিরি। ফিরে একাধিকবার দরজায় কড়া নাড়ি। কিন্তু তাঁর কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি, সে আত্মহত্যা করেছে।’
চরফ্যাশন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিয়া বলেন, ‘সমির মজুমদার ও শাওন মজুমদারকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি ৷’