মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন উন্নত চরিত্র ও উত্তম আদর্শের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা নিজেই তাঁর আদর্শিক হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ তাঁর সাহাবিদেরও তিনি আদর্শের সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলেন। তাঁদের তিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা দেন। সত্য বলার আদেশ দেন। আল্লাহর ভয় তাঁদের অন্তরে গেঁথে দেন। ফলে তাঁরা আল্লাহর সাচ্চা বান্দায় পরিণত হন।
সাহাবিরা ছিলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আদেশের প্রতি সদা নিবেদিতপ্রাণ। নবী (সা.)-এর প্রতিটি আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার মতো মন-মনন তাঁদের তৈরি হয়। ফলে তাঁরা নিখাদ সোনার মানুষে পরিণত হন এবং ইসলামের আদর্শের ঝান্ডা নিয়ে দিগ্দিগন্তে ছড়িয়ে পড়েন। মানুষের মধ্যে প্রচার করেন ইসলামের মহান শিক্ষা। ফলে মানুষ দলে দলে ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হয়। এভাবে পুরো বিশ্বে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ ছড়িয়ে পড়ে। মুসলমানরা যত দিন তাঁর আদর্শ ও শিক্ষা নিজেদের মধ্যে ধারণ করেছে এবং অন্যদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিয়েছে, তত দিন তাঁরা পৃথিবীকে অনন্য চরিত্রের মানুষ উপহার দিয়েছেন।
মানবসমাজে চলমান সব অশান্তির কারণ হলো মানুষের মধ্যে সুশিক্ষা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তার অভাব। এ সংকট থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে ইসলামের উন্নত আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও পবিত্র কোরআন দিয়ে পাঠিয়েছেন। তা দিয়ে তিনি একটি সত্যিকারের মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোস্তফা কামিল মাদানী: কুরআনিক সায়েন্স অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম