মূকাভিনয়ে দেশের অন্যতম পরিচিত মুখ মীর লোকমান। তরুণ এই শিল্পী মূকাভিনয় করেছেন দেশ-বিদেশের সাত শতাধিক প্রদর্শনীতে। এবার তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। ২৯-৩১ জুলাই দেশটির গ্যাংনাম শহরের গুচাংয়ে বসবে ‘৩১তম এশিয়া একক পরিবেশনা উৎসব’।
তুরস্ক, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের মূকাভিনেতা মীর লোকমান একক মূকাভিনয় পরিবেশন করবেন সেখানে। ‘রঙ, রক্ত এবং একটি চিৎকার’, ‘জীবন—যেখানে যেমন’ ও ‘অস্বীকৃতি’ শিরোনামের তিনটি স্কেচের সমন্বয়ে প্রযোজনাটির দুটো মঞ্চায়ন হবে উৎসবের ভিন্ন দুই মঞ্চে। প্রযোজনাটির প্রপস, আলোক প্রক্ষেপণ ও আবহসংগীত করবেন উপস্থাপিকা, অভিনেত্রী ও মূকাভিনয় শিল্পী মৌসুমী মৌ। উৎসবে অংশ নিতে লোকমান ও মৌসুমী মৌ ২৬ জুলাই ঢাকা ছাড়বেন।
মীর লোকমান বলেন, ‘প্রযোজনাটি নিয়ে আমরা বহুবার দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে উঠেছি। তবে কোরিয়ার প্রদর্শনীর জন্য প্রযোজনাটি নতুনভাবে সাজিয়েছি। মূকাভিনয়ের মাধ্যমে আমরা অন্য রকম এক বাংলাদেশকে তুলে ধরব কোরিয়ার বুকে।’
মীর লোকমানের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন। ২০১৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মূকাভিনয় শিক্ষার একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ইনস্টিটিউট অব মাইম অ্যান্ড মুভমেন্ট (আইএমএম)। তিনি ছাড়াও মৌসুমী মৌ ও মাহবুব আলম এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেক জেলায় মূকাভিনয়ের ওপর কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।