মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. শহিদুল্লাহ শহিদ পেয়েছেন মাত্র ৩৯০ ভোট। ৯টি কেন্দ্র মিলিয়ে তিনি এই ভোট পান। এতে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু এই ইউপিতে নৌকা প্রতীক এত কম পেয়েছে।
বয়রাগাদী ইউপিতে ১০ হাজার ৮৩১ ভোটারের মধ্যে ৭ হাজার ৯২৬ ভোট দেন। এতে নৌকা প্রার্থী ৫ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন। গত রোববার রাত ৮টার দিকে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বয়রাগাদী ইউপিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান সোহাগ আনারস প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মো. আলাউদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫টি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আমির হামজা হাত পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫৬ ভোট।
এদিকে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে এত কম ভোট পাওয়ায় নৌকার প্রার্থীকে নিয়ে ট্রল চলছে। খোদ দলের নেতা-কর্মীদেরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
বয়রাগাদী ইউপির নৌকার প্রার্থী মো. শহিদুল্লাহ শহিদ বলেন, ‘দুঃখের বিষয় বলতে হয়, দলের নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও এর থেকে বেশি ভোট পেতাম। কিন্তু দলের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় ভরাডুবি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই ইউনিয়নটি সব সময় বিএনপিঅধ্যুষিত ছিল। সেখানে আমরা আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে তুলেছি। প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত নৌকা নিয়ে আমি নির্বাচন করছি, কিন্তু আমার পাশে কেউ থাকল না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, বয়রাগাদী ইউপিতে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. শহিদুল্লাহ শহিদ ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।’