নাটোরের গুরুদাসপুরে মুক্ত প্রকৃতিতে ফিরল শিকারির ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া ১২০টি বক। গতকাল শনিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৮টি মাঠে পরিবেশকর্মীরা ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের খুবজীপুর উত্তরপাড়া মাঠ, ত্রিমোহিনী, কালিবাড়ি, বামনবাড়িয়া, চরপিপলা, যোগেন্দ্রনগর, শ্রীপুর ও কালাকান্দর মাঠে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে প্রায় ১২টি পাখি শিকার করা ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস করা হয়। এ সময় শিকারিদের ফাঁদ থেকে ১২টি শিকারি বক ও খাঁচাবন্দী ১০৮টি বুনো বক উদ্ধার করা হয়। কাদাপানি পেরিয়ে শিকারিদের কাছে পৌঁছানোর আগেই শিকারিরা পালিয়ে যান। এ কারণে শিকারিদের ধরা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন পরিবেশকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসান, মনির হোসেন ও সাদেক আলী।
পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান বলেন, চলনবিল অধ্যুষিত তাঁদের গুরুদাসপুর উপজেলা। এ মৌসুমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পাখি চলনবিলসহ আশপাশের উপজেলায় আসে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতিদিন পরিবেশকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাখি শিকার বন্ধে প্রতিটি এলাকায় বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। তাঁদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।