হোম > ছাপা সংস্করণ

৯০ লাখ টাকার ঋণ গেল কার পকেটে?

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

বছরখানেক আগে এনআরবিসি ব্যাংকের এক কর্মকর্তার অনুরোধে সাতক্ষীরার কলারোয়া শাখায় হিসাব খোলার জন্য আবেদন করেন শেখ অহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এরপর তিনি আর ব্যাংকে যাননি। লেনদেন করেননি। ঋণের জন্যও আবেদন করেননি। কিন্তু সম্প্রতি জানতে পারেন ব্যাংক থেকে তাঁর নামে ৯০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় অহিদুল খুলনার দৌলতপুর থানায় এনআরবিসি ব্যাংকের কলারোয়া শাখার ব্যবস্থাপক গাজী মোশারফ হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা সাহেদ শরীফ, বদিয়ার রহমান ও ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। অহিদুল ইসলামের বাড়ি খুলনার দৌলতপুরের কৃষি কলেজ মোড়ে। তিনি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রাজীব মটরসের স্বত্বাধিকারী।

অহিদুল তাঁর জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এক বছর আগে আমার অফিসে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম। তাঁরা আমাকে ব্যাংকটিতে একটি হিসাব খোলার অনুরোধ করেন। এরপর আমি ব্যাংক হিসাবের একটি ফরমে স্বাক্ষর করি ও ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়েছিলাম। তবে তারপর থেকে ব্যাংকটির কোনো কর্মকর্তার সঙ্গেই আমার দেখা বা যোগাযোগ হয়নি। হিসাবটি আদৌ সচল হয়েছে কি না সেটিও আমি জানতাম না। গত নভেম্বর মাসে ব্র্যাক ও ইস্টার্ন ব্যাংকে আমি দুটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করি। তখন আমাকে এনআরবিসি ব্যাংক থেকে নেওয়া ৯০ লাখ টাকার ঋণের নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোয় (সিআইবি) খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এনআরবিসি ব্যাংকের সাতক্ষীরার কলারোয়া শাখা থেকে আমার নামে ৯০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ ঋণ পরিশোধ করায় হিসাব স্থিতি ৯ লাখ ৩২ হাজারে নেমে এসেছে।’

জানতে চাইলে শেখ অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি প্রতারণা ও জালিয়াতি। বিষয়টি জানার পর এনআরবিসি ব্যাংকের কলারোয়া শাখার ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে ঋণটি বাতিল করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য আমি থানায় জিডি করেছি।’

এনআরবিসি ব্যাংক কলারোয়া শাখা ব্যবস্থাপক গাজী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘শেখ অহিদুল ইসলামের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসাও হয়ে গেছে। ঋণটি দ্রুতই বাতিল করা হবে।’

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, ‘এটি আমাদের তদন্তের কোনো বিষয় নয়। এ কারণে জিডি নথিভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ