মা সকাল সকালই ব্যাংকে গেছেন। কী একটা কাজ আছে বললেন। শুভা তখন থেকেই নোভার পাশে বসে পড়ছে। নোভা ওর ছোট বোন। ঘুমাচ্ছে সে। মা টেবিলে পাউরুটি ও ডিম পোচ করে রেখে গেছেন। নোভা সকালে ডিম পোচ খেতে ভালোবাসে। শুভা সকাল সকালই খেয়ে পড়তে বসেছে। এপাশ থেকে ওপাশ ফিরল নোভা। আড়মোড়া ভেঙে দেখে বড় বোন পাশে। সে উঠে বসল। হাসি ফোটাল মুখে। কিন্তু শুভা বুঝল, মা ছাড়া এই নোভাকে খাওয়াতে কতটা দম পেতে হবে তাকে।
শুভা নোভাকে বলল, চলো তো, আমরা দাঁত ব্রাশ করি। তারপর দেখবে ডিম ফুটে কীভাবে মুরগির ছানা হয়। নোভার চোখ ঝপাৎ করে লাইটারের মতো জ্বলে উঠল। কীভাবে হবে? কোথায় সেই মুরগির ছানা? শুভা বলল, আগে দাঁত ব্রাশ করিয়ে দিই চলো। ব্রাশ হয়ে গেলে ওরা খাবার টেবিলে এল। ঢাকনা তুলে পাউরুটির ওপর রাখা ডিম পোচের প্লেটটা সামনে এগিয়ে দিল শুভা। নোভা বলল, কোথায় মুরগির ছানা!
শুভা বলল, আরে দাঁড়াও না। আগে বলো, মুরগির ছানা এলে তুমি খাবে লক্ষ্মী হয়ে। নোভা বলল, খাব খাব। এবার সালাদের বাটি থেকে গোল করে কাটা গাজরের একটি স্লাইস নিল শুভা। এবার এটাকে তিন কোনা করে ডিমের কুসুমের ওপর মাঝ বরাবর রাখল। তারপর জিগজ্যাগ করে কেটে নিল দুই টুকরো গাজর। এ দুটো দিয়ে বানাল পা। এবার দুটো কালোজিরা দিয়ে বানাল চোখ। এই যে মুরগির ছানা বেরিয়ে এল—বলল শুভা। নোভা একটা হাসি দিল। বলল, আপাই, একটা গল্প বলো আর খাইয়ে দাও আমাকে এখন।