ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইজিবাইকচালক নাজিরুল হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নাজিরের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের একজন হলেন হবিগঞ্জ জেলা সদরের আনোয়ারপুরের জুলহাস ওরফে শাহীন (৩৮)। তিনি আখাউড়া পৌর শহরের রাধানগর লালবাজার এলাকায় বাস করেন। অপরজন হলেন আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রামের বাসিন্দা হানিফ (৫৫)। গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান রকির কাছে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে শাহিন, হানিফ ও তাঁদের আরেক সহযোগী আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার থেকে নাজিরুল ইসলামের ইজিবাইকে খড়মপুর কেল্লা বাবার মাজারে রওনা হন। পথে আখাউড়া বাইপাস সড়কের পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় নাজিরের কাছে মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে নাজিরকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সড়কে ফেলে রেখে তাঁরা পালিয়ে যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ইজিবাইকচালক জহিরুল ইসলামের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসহ হানিফকে পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহীনকে আখাউড়া লাল বাজার ভূমি অফিসের সামনে থেকে আটক করা হয়।