হোম > ছাপা সংস্করণ

নদীভাঙনের মুখে মন্দির

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সুতাবাড়ীয়া গ্রামের প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী দেবী মন্দির তেঁতুলিয়া নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্দিরের সিংহ গেট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বাংলা ১২০৮ সালে তৎকালীন জমিদার ভবানী শংকর সেন এ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি। এর পশ্চিম পাশে রয়েছে আলাদা একটি শিব মন্দির। শিব মন্দিরের উপরিভাগ গম্বুজাকৃতির।

এক সময় মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসতেন অনেক ভক্ত। জমজমাট থাকত সারা গ্রাম। শীত মৌসুমে লোক সমাগম হতো অনেক বেশি। প্রতি বছর বাংলা মাঘ মাসের ১ তারিখে মন্দির এলাকায় এক মাসব্যাপী মেলা বসত। এ মেলা দয়াময়ী মেলা নামে পরিচিত ছিল। কলকাতা থেকে নামী যাত্রাদল এসে এ জনপদকে মাতিয়ে রাখত। বিভিন্ন এলাকার সাধু-সন্ন্যাসীরা এসে ভিড় জমাতেন।

সময়ের আবর্তে ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মেলা এখন মাত্র ১ দিন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় এ মন্দিরটি দাঁড়িয়ে আছে। নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে পাঠা বলির ঘর, কালী মন্দির, শিব মন্দির ও একমাত্র দিঘিটি।

এলাকাবাসী জানান, পুরোনো সভ্যতার নিদর্শন এ মন্দিরটি প্রত্নতত্ত্বের অমূল্য সম্পদ। কিন্তু সরকারি বেসরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় মন্দির আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দয়াময়ী দেবী মন্দিরের পুরোহিত রিপন গাঙ্গুলি (৪০) বলেন, প্রতি বছর এখানে মাঘের সপ্তমীতে মেলা বসে। এ মেলায় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ আসেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে মন্দিরটি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।

চিকনিকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ জানান, সূতাবাড়ীয়ার দয়াময়ী দেবী মন্দির পটুয়াখালী জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দির। দুইশ বছরের পুরোনো প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনটি রক্ষা করা জরুরি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ