হোম > ছাপা সংস্করণ

এক পায়ে জীবনযুদ্ধ কামাল উদ্দিনের

নান্দাইল প্রতিনিধি

এক পা নেই, ক্র্যাচে ভর করে চলতে হয় তাঁকে। কিন্তু তাই বলে থেমে থাকার পাত্র নন তিনি। কারও কাছে হাত না পেতে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছেন ৩০ বছর বয়সী কামাল উদ্দিন (৩০)। তিনি উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাগপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মা, স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। ক্র্যাচে ভর দিয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ। তিনি নিজেকে কখনো পঙ্গু মনে করেন না।

কামাল উদ্দিন ছিলেন মেধাবী ছাত্র। কিন্তু অভাবের তাড়নায় ২০০১ সালে ঢাকায় পাড়ি জমান। সেখানে গার্মেন্টসে চাকরি নেন। ভালোই চলত সংসার। কিন্তু কাল হয়ে দাঁড়ায় একটি দুর্ঘটনা। অফিসে কাজ শেষে বাসায় ফের পথে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাঁকে চাপা দিলে ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সেই থেকে পঙ্গু অবস্থায় জীবনযাপন করছেন কামাল উদ্দিন। পরিবারের প্রধান হিসেবে নিজেকেই আয় রোজগার করে সংসার চালাতে হয়। সে জন্য ক্র্যাচে এক হাতে রেখে নিজের কাজ নিজেই সারেন। তাতে কষ্ট হলেও কারও কাছে হাত পাতেন না তিনি।

নাগপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির পাশে বীজতলা তৈরি করছেন কামাল উদ্দিন। এক হাতে কাঠের ক্র্যাচ, অন্য হাতে মই। ক্র্যাচে হাত রেখে মই টেনে বীজতলা সমান করছেন।

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি পা হারিয়ে আমি খুব অসহায় হয়ে জীবনযাপন করছি। ক্র্যাচের ওপর ভর করে বেশি কাজ করতে পারি না, খুব কষ্ট হয়। গরিব মানুষ, কৃত্রিম পা কেনার সামর্থ্য নাই। কৃত্রিম পা থাকলে হয়তো কষ্টটা কম হতো।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ