হোম > ছাপা সংস্করণ

অর্ধশতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা

গোলাম কবির বিলু, পীরগঞ্জ (রংপুর) 

প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও নিয়োগে অনিয়মকে কেন্দ্র করে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং একাডেমিক সুপারভাইজারকে দায়ী করছেন।

অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায়ই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ যাচ্ছে।

পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে ১০ অক্টোবর উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের খেতাবেরপাড়া পল্লী মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বল্লমের আঘাতে বিদ্যালয়ের ছাত্র রমজান আলী আকাশ নিহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ রকম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জে মোট ১৮২টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১০৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি কলেজ, ১০টি কারিগরি কলেজ ও ৫৪টি দাখিল মাদ্রাসা।

এসব ননএমপিও প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটি গঠনে শিক্ষা কর্মকর্তা এবং একাডেমিক সুপারভাইজারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি উপজেলায় প্রায় ৪০০ শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচালনা কমিটি গঠন ও নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। বিশেষ করে ছেলে প্রধান শিক্ষক বাবা সভাপতি অথবা স্ত্রী প্রধান শিক্ষক স্বামী সভাপতি, আবার বাবা প্রধান শিক্ষক ছেলে পিয়ন বা পুত্রবধূ কর্মচারী হিসেবে গোপনে নিয়োগ পাচ্ছেন। যেন পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, তাঁরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চোখেই দেখেন না। অথচ নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু আজাদ বাবলু বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গেলে বিভিন্ন কারণেই এদিক-সেদিক হয়। তাই লোকজন ক্ষুব্ধ হয়। তারপরও ম্যানেজ করে চলা উচিত। খেতাবেরপাড়া পল্লী মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বে ছাত্র নিহত হওয়া খুবই দুঃখজনক।

কমিটি গঠন ও নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাজেদুল বারী বলেন, ‘আমি বিধি মোতাবেক স্কুল, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করি। এ নিয়ে কেউ কেউ কমিটি গঠনে তফসিল প্রকাশ নিয়ে অভিযোগ করেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি কোনো অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেই না।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, লোকবল সংকটের কারণে যথাসময়ে অভিযোগ তদন্ত করতে না পারায় কিছু মানুষ অসন্তুষ্ট হয়ে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে।

এ কর্মকর্তা দাবি করে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথাযথভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সবাই তো নিয়োগ পাবে না। ঘুপচি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ এবং গোপনে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়, এ ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই। অনেকে নিয়োগে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন। কিন্তু আমি জোর বা দাবি করে টাকা নেই না। স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই নেই।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ