হোম > ছাপা সংস্করণ

আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় সুপেয় পানির সংকট

আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর

মনিরামপুরের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকাগুলোতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মূলত লোকালয় থেকে বেশ দূরে হওয়ায় এবং গভীর নলকূপের অভাবে এলাকাগুলোতে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে এক বছরেও সরকার কর্তৃক বরাদ্দ গভীর নলকূপগুলো স্থাপিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ২৬২টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে বুঝে দেয় উপজেলা প্রশাসন। ওই বছরের মার্চ মাস থেকে ঘরে উঠতে শুরু করেন ভূমিহীনরা। জুলাই মাসে আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের জন্য ২৮টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয় সরকার।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার পল্লির প্রতি ১০ ঘরের বিপরীতে ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি করে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তা ছাড়া উপজেলার হাজেরাইল আশ্রয়ণে ৬টি, মাছনা আশ্রয়ণে ৬টি, শিরীলি আশ্রয়ণে ৪ টি, হাকোবা আশ্রয়ণে ২ টি, গাংড়া আশ্রয়ণে ১ টি, তাহেরপুর আশ্রয়ণে ১ টি, মধুপুর আশ্রয়ণে ৪টি ও চাকলা আশ্রয়ণে ৪টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫টি নলকূপের পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। হাজেরাইল ও তাহেরপুর আশ্রয়ণের ৭টি নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ৮টির পাইপ বসেছে কিন্তু পাম্প বসানো হয়নি। বাকি ১৩ টির কাজ এখনো শুরুই হয়নি।

আরও জানা গেছে, আল জুবায়ের কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজের দায়িত্ব পায়। নলকূপ স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ হয় ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় একই বছরের ১৫ নভেম্বর। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনে আরও এক মাস সময় বাড়ালেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।

আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দারা বলেন, ‘এক দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি আনতে হয়। সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে এখনো ঘরে ওঠেননি।

মাছনা আশ্রয়ণের বাসিন্দা পলি খাতুন বলেন, ‘এখানে ঘরের কাজ করার সময় একটা সাধারণ টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল। সেই কলের পানিতে ৬০-৬২টি পরিবারের গোসল, খাওয়া ও কাপড় ধোয়ার কাজ করতে হয়।’

মোবাইল নম্বর না পাওয়ায় এ বিষয়ে গভীর নলকূপ স্থাপনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মনিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত বলেন, ‘দু্ই দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৭টি নলকূপ বসানোর কাজ শেষ করতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ঠিকাদারের বাড়ি ঢাকায় হওয়ায় তাঁকে ধরা যাচ্ছে না। আমরা আরও কিছুদিন দেখব। এর মধ্যে তিনি কাজ শেষ করতে না পারলে নতুন ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো হবে। আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয় এক ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ