মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ থেকে বাখেরা জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় পাশের নালা খননের কাজ শুরু হয়েছে। সেচ মৌসুমে পানি না থাকায় শ্রীপুর থেকে কাজলি বাজার পর্যন্ত এ খননকাজ চলছে।
কিছুদিন ধরেই ভেকু দিয়ে চলছে খনন কাজ। দীর্ঘদিন নালাটি সংস্কার না করায় সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে আসছিল। কৃষকের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছুদিন ধরে নালা খননের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এতে সমস্যায় পড়েছে পথচারী ও সেখানে বসবাসকারী মানুষ। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে খনন কাজ। খননের পর মাটি তুলে রাখা হচ্ছে দু-পাশের রাস্তার ওপর। ফলে জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে খনন কাজের ফলে এমনটি হয়েছে বলে দাবি এলাকার মানুষের।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অপরিকল্পিতভাবে নালা খননের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীপুর থেকে কাজলি বাজার পর্যন্ত ছোট নালা খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাটি ফেলা হয়েছে নালার দু-পাড়ে রাস্তার ওপর। রাস্তার কোথাও পাকা, কোথাও কাচা আবার কোথাও ইটের সলিং। রাস্তায় ওপর মাটি রাখার কারণে চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। হালকা বৃষ্টিতেও এ রাস্তায় চলাচলের কোনো উপায় নেই। এমনকি যেভাবে মাটি রাখা হচ্ছে হালকা বৃষ্টি হলেই পাড়ের মাটিতে আবারও নালা ভরাট হয়ে যাবে। এ ছাড়া অনেকেই জনসম্মুখে এমনকি অগোচরে যে যার মত পাশে রাখা মাটি লুট করছে। এ মাটি দিয়েই আশেপাশের অনেকেই নিজেদের বসত বাড়ির জায়গা ভরাট করে নিয়েছে। সারাদিন নসিমন, ছোট ট্রাক, ভ্যান এমনকি মাথায় করেই যে যার মত পারছে মাটি নিচ্ছে।
মাটি নিতে আসা সারঙ্গদিয়া গ্রামের হারেজ বলেন, ‘নতুন বাড়ি করেছি। সবাই এই মাটি নেচ্ছে তাই আমিও নিচ্ছি।’
ভেকু চালক আব্দুল রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার আমাদের যেভাবে মাটি ফেলতে বলেছে আমরা সেইভাবেই ফেলছি। রাস্তার মাটি কি করতে হবে এখনো আমাদের বলেননি। তিনি আমাকে যেভাবে বলবেন আমি ঠিক সেভাবেই কাজ করছি।’
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আশেপাশের বাড়িগুলো মাটি যদি যদি উপকৃত হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। রাস্তায় মাটি ফেলায় চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত রাস্তার ওপর থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে।’