হোম > ছাপা সংস্করণ

ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেনে ৯ পেমেন্ট গেটওয়ে

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির অভাবে এখনো অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা করছে অধিকাংশ গেটওয়ে খ্যাত পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর পিএসও প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের ই-সেবা প্রদানকারী মোট ১৬টি পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির কোনো লাইসেন্স না থাকলেও তাদের গ্রাহকসেবা চলমান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের হাজারো গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা এবং টাকা পাচারের অভিযোগে ফস্টার করপোরেশন লিমিটেড, পে সেন্স লিমিটেড ও দ্য কোডেরো লিমিটেডের কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পাঁচটি পিএসও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব হলো—আইটি কনসালট্যান্টস, এসএসএল কমার্স, সূর্যমুখী লিমিটেড, প্রগতি সিস্টেম ও পর্টেনিক্স লিমিটেড। আর লাইসেন্সের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নথিপত্র জমা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আমার পে, ইজি পে ওয়ে, পে সেন্স, ওয়ালেট মিক্স ও ফস্টার করপোরেশন লিমিটেড। কিন্তু বিডি স্মার্ট, বিটিটি পে, পোর্ট ওয়ালেট, টু চেক আউটসহ আরও কয়েকটি পিএসও প্রতিষ্ঠান সেবা প্রদান করছে কোনো অনুমোদন ছাড়াই।

পিএসওগুলো মূলত ব্যাংকের কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, হোটেল, খুচরা ও পাইকারি পণ্য বিক্রি, সুপার শপসহ নানা প্রতিষ্ঠান পিএসওর মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করে। পিএসও প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে থাকে। তারা সেবা বা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখে, যাতে ব্যাংকের গ্রাহকেরা পণ্য বা সেবা নিয়ে ব্যাংকের হিসাব, কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের চাহিদার প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে বাংলাদেশে পিএসও কার্যক্রম শুরু হয়। এর বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ২০১৪ সালে পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন হালনাগাদ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো এসএসএল কমার্স নামক একটি পিএসও প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এখন পর্যন্ত অনুমোদন প্রাপ্ত পিএসও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হলো পাঁচ। সেগুলো হলো—আইটি কনসালট্যান্টস, এসএসএল কমার্স, সূর্যমুখী লিমিটেড, প্রগতি সিস্টেম ও পর্টেনিক্স লিমিটেড।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সবগুলো পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন। এসবের লাইসেন্স না থাকলেও পুরোপুরি অবৈধ বলার সুযোগ নেই। তারা লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনা করছে। কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে না।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে ও ইজি পে ওয়ে প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পাচার এবং গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের কার্যক্রম বাতিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালে প্রতারণাসহ কয়েকটি সমস্যা অনুধাবন করতে পেরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান (এমএফএস)–কে চিঠি দিয়ে অনুমোদনহীন পিএসওর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেয়। ঠিক তখন অনুমতি না থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। তবে করোনার মধ্যে অনলাইন কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ প্রভৃতি খাতে পিএসওগুলোর মাধ্যমে লেনদেন গতি পায়।’ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ