টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর চরাঞ্চলে ঘাসের চাষ ভালো হওয়ায় বেড়েছে এর চাহিদা। জমে উঠেছে নদীর তীরবর্তী ঘাসের বাজারগুলো। ঘাস চাষকে কেন্দ্র করে চরাঞ্চলের অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে।
উপজেলার যমুনা নদীর তীরে নেংড়াবাজার, গোবিন্দাসী, মাটিকাটা, গাবসারা, নিকরাইলসহ বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর থেকেই হাটে আসতে শুরু করে
ঘাস।
নেপিয়ার, দূর্বা, গর্বা ঘাসসহ কাঁঠাল পাতার স্তূপ দেখা গেছে সেখানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকে ক্রেতারা। যমুনা চরাঞ্চলের মানুষ এখন গোখাদ্য থেকেই
আয়ের উৎস বের করার পথ খুঁজে পেয়েছেন। এসব হাট একসময় টাটকা মাছের বাজার হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে ঘাসের হাট হিসেবে পরিচিতি
লাভ করেছে।
বাজারে ঘাসের প্রতিটি আঁটি আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এক আঁটি দূর্বা ঘাস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গর্বা ঘাস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, নেপিয়ার ঘাস প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
চরচিতুলিয়া পাড়া গ্রামের ঘাস বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ঘাস বিক্রি করি। ঘাস বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে।’
রুলিপাড়া গ্রামের ঘাস বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘চরাঞ্চল থেকে ঘাস কেটে প্রতিদিন বাজারে বিক্রি করি। যমুনার পানি বাড়ায় ঘাস ডুবে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ ঘাস বিক্রি করেই এখন সংসার চলে।’
ঘাস বিক্রেতা আনছের আলী জানান, ঘাস বিক্রির টাকায় সংসার ও তাঁর লেখাপড়ার খরচ চলে।
ঘাস পরিবহনকারী ভ্যানচালক স্বপন জানান, বিক্রি হওয়া ঘাস পৌঁছে দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাওয়া যায়।
ঘাসের ক্রেতা রনি, সাহেব আলী ও আবুল কালাম জানান, তিন আঁটি ঘাস কিনেছেন ৯০ টাকা দিয়ে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, নদী তীরবর্তী এলাকার গোখাদ্যের জোগান দিতেই মূলত ঘাসের বাজারগুলো গড়ে উঠেছে।
এসব বাজারকে কেন্দ্র করে চরাঞ্চলের অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করছে।