হোম > ছাপা সংস্করণ

ওমিক্রন খুব দ্রুত ছড়ালেও তেমন ভয়ংকর নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধারণার চেয়েও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন, যা ইতিমধ্যে ৪৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। ডেলটা ধরনের মতো এটি ভয়ংকর নয়। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ডেলটা-ওমিক্রনভিত্তিক বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও বৈষম্যবিষয়ক এক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। এখানে মূল প্রবন্ধ পড়েন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।

বিজন কুমার বলেন, ওমিক্রনকে ভয়ংকর ভাবার কারণ এর মিউটেশন। এখন পর্যন্ত ডেলটা ধরনের সর্বোচ্চ ১৫টি মিউটেশন হয়েছে। সেখানে ওমিক্রনের হয়েছে ৫০টি। যার ৩২টি স্পাইক প্রোটিন, যা দিয়ে সে মানুষকে খুব সময়ে সংক্রমিত করে এবং এর মাধ্যমে টিকা তৈরি করা হয়। এই যে ব্যাপক পরিবর্তন, এতে করে ধরনটি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। আর এ জন্যই মনে করা হচ্ছে, হয়তো ওমিক্রন ডেলটার চেয়েও ভয়ানক হবে।

ড. বিজন বলেন, ফিউরিন নামের একটি প্রোটিন পুরো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করে দিতে পারে।

এটি সার্সকপ-১-এ ছিল না, তবে সার্সকপ-২-তে আছে। এখন এটি যদি আরও বিস্তার লাভ করে, তাহলে ডেলটার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে ডেলটার মতো আতঙ্কিত করার অবস্থায় যায়নি ওমিক্রন। তবে এটাই শেষ নয়, খারাপ হতে পারে। আফ্রিকা থেকে অন্যান্য দেশে শনাক্তের পর এটি আরও শক্তিশালী হয়েছে, সংক্রমণ যত বাড়বে, ততটাই এটি মারাত্মক হতে থাকবে।

এই গবেষক বলেন, ইতিমধ্যে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা অনেকটা সুরক্ষিত। তবে এর বিপরীতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু, সেটি সম্পর্কে এখনো পর্যালোচনা চলছে।

একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, ‘এক দিনের লকডাউনে তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অথচ যদি বিনা টাকায় নমুনা পরীক্ষা করা যেত, প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারতাম, তাহলে অর্থনীতি সচল থাকত। এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের অর্ধেক বেলা খাবারের জন্য কাজ ফেলে আসা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য মানুষকে টাকা দিতে হবে, তবেই আমরা লকডাউন নামক এই জঞ্জাল থেকে মুক্তি পাব।’

সায়েদুর রহমান আরও বলেন, দেশের ১৫ কোটি মানুষকে ৩০ কোটি মাস্ক বিনা মূল্যে দিতে কী সমস্যা? সাদা-লাল রঙের দুই ধরনের মাস্ক দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিটি শহরে সাত দিনের মধ্যে মানুষকে সচেতন করা যায়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেন, এতে সরকারে পদক্ষেপ সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে, গুরুত্ব দেবে। একই সঙ্গে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্স করার সক্ষমতা আছে, পিসিআর পরীক্ষা একেবারেই সহজ অবস্থায়। তাহলে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে কি এত সময় লাগে?

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ