পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সরকারি পর্যটনস্থল হলো পিকনিক কর্নার ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে পিকনিক কর্নারটির সৌন্দর্যবর্ধনে জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পর্যটকদের কাছে এই স্থানের আকর্ষণ বাড়ছে।
এদিকে উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় পুরোনো একটি জিরোপয়েন্ট আছে। এই জিরো পয়েন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত না থাকায় তেঁতুলিয়ার পিকনিক কর্নারের প্রবেশ পথে নতুন করে জিরো পয়েন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দেখতে এবং এখানে এসে সেলফি কিংবা ছবি তোলার জন্য বিভিন্ন পর্যটক কমবেশি ভিড় প্রতিদিনই করছেন।
দিনাজপুর থেকে তেঁতুলিয়ায় ঘুরতে আসা মাজেদুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে তেঁতুলিয়ায় ঘুরতে এসেছি। তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নারে প্রবেশের মুখে জিরোপয়েন্ট দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
কুড়িগ্রাম শহর থেকে আসা আরেক পর্যটক নাজমুল হাসান বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে তেঁতুলিয়ায় দীর্ঘদিন পর ঘুরতে এসেছি। প্রথম বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট দেখতে গিয়েছিলাম কিন্তু বিকেল ৫টার পর জিরোপয়েন্টে প্রবেশ করতে পারব বলে বিজিবি জানায়। পরে তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার আসলাম, আসা মাত্রই ঠিক বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টের মতোই তেঁতুলিয়ার জিরোপয়েন্ট দেখতে পেলাম। দেখে অনেক ভালো লেগেছে।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ট্রাভেল ও টুরিজমের পরিচালক এম মোবারক হোসাইন বলেন, তেঁতুলিয়া পর্যটন এলাকা হিসেবে দিন দিন পরিচিত হচ্ছে। পিকনিক কর্নার, ইকোপার্ক, জিরোপয়েন্ট, আনন্দধারা, সমতলে চা বাগান এমনকি খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটছে তেঁতুলিয়ায়।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, তেঁতুলিয়া দিনদিন পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন বিকাশে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং বাস্তবায়নও ইতিমধ্যে শুরু করেছি।