কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আগামী ৩১ জানুয়ারি চণ্ডীপাশা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে। এই ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শামছু উদ্দিনের (আনারস) প্রচারে বাধা দেওয়া, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন মো. শামছু উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মো. শামছু উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনে এ ইউনিয়নের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর আমি এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করেছি। এবারও এ ইউনিয়নের বিপুল মানুষ আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকেরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নানাভাবে আমার লোকজনের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। চিলাকাড়া গ্রামে প্রচারে গেলে নৌকার কর্মীদের নেতৃত্বে আমার স্ত্রীকে হেনস্তা করে লিফলেট কেড়ে নেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শৈলজানীসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। নানাভাবে আমার কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’