হোম > ছাপা সংস্করণ

পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে চুক্তিভিত্তিক চাকরি: ১১৬ কর্মীর অনিশ্চিত যাত্রা

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

তেল বিপণনকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে ১১৬ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ চাকরি করছেন ২০ বছর ধরে। আবার কারও চাকরির বয়স এক যুগেরও বেশি। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ স্থায়ী করতে ২০১৯ সালের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত হয়। তবু আটকে আছে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থায়ী নিয়োগ। অস্থায়ী এই চাকরির ফলে তাঁদের বয়স বাড়ে, বেতন-ভাতা বাড়ে না।

এদিকে এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্প্রতি ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁদের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আদেশ দিয়েছেন। পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মানব সম্পদ বিভাগকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এক যুগ থেকে ২০ বছর চলে গেলেও তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনেকের চাকরি স্থায়ী হলেও এই ১১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণ আটকে আছে বছরের পর বছর। ফলে এসব পরিবারে নেমে আসছে দুর্বিষহ জীবন।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি সূত্র জানায়, কোম্পানির চাকরি প্রবিধান ২০২১-এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি ছাড়া কোনো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হবে না। তবে ইতিমধ্যে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের তাঁদের বয়স শিথিলপূর্বক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোম্পানিতে স্থায়ী করা যাবে।

জানা গেছে, বর্তমানে পদ্মা অয়েলে চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা বাবদ পাচ্ছেন ৩০ হাজার এবং কর্মচারীরা পাচ্ছেন ১০-১২ হাজার টাকা। 
জানা গেছে, বর্তমানে পদ্মা অয়েলে ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৮৯ জন কর্মচারীকে স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। তাঁরা কোম্পানির ৫% লভ্যাংশ, চিকিৎসা-ভাতা, ছুটিসহ সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যেখানে কোম্পানির একজন স্থায়ী শ্রমিক, স্টাফ ও ড্রাইভার বেতন-ভাতাসহ মাসিক ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পান। সেখানে একজন অস্থায়ী শ্রমিক খাটছেন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। আর যেখানে একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছেন। অথচ তাঁদের যোগ্যতা এমবিবিএস, এমএ/এমএসসি/এমকম/এমবিএ/বিএজি, সেখানে একজন স্থায়ী কর্মকর্তা পাচ্ছেন বেতন-ভাতা ও মেডিকেল ভাতা, উৎসব ভাতা ও লভ্যাংশসহ গড়ে ৭৫ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা।

২০০৯ সালে ১৮ জনকে এবং ২০১২ সালে ৮৮ জন কর্মচারীকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে স্থায়ীকরণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে লোক দেখানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বাইরে থেকে ড্রাইভার পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ১৮ থেকে ২০ বছর কর্মরত ড্রাইভারদের স্থায়ী করা হয়নি। চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় বেতন ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন ১১৬ কর্মচারী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুক্তিভিত্তিক পদায়ন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমরা স্থায়ী নিয়োগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমানতালে চাকরি করলেও আমাদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না। পদ্মা অয়েলে প্রায় সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে পরে স্থায়ী হয়েছেন। বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে শতাধিক পদ খালি রয়েছে। আগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী না করে এখন নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে পদ্মা অয়েল কর্তৃপক্ষ। মানবিক কারণে আমাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়মের বাইরে কাউকে নিয়োগ ও স্থায়ী করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে তাই হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ