ঔষধি গুণাবলির জন্য বহু যুগ ধরে পাহাড়ের অধিবাসীদের কাছে বটবৃক্ষ পূজনীয়। শোভাবর্ধক ও ছায়াদানকারী এই বৃক্ষটি চিরহরিৎ ঘন সবুজ পল্লববিশিষ্ট। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ১৯৪০ সালের ১ জুলাই এমন একটি বটের চারা রোপণ করেছিলেন চাকমা সার্কেলের তৎকালীন রাজা অংশু রায়। বর্তমানে গাছটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির কাপ্তাই লেকসংলগ্ন সুইমিংপুলের পাশে রয়েছে।
কথিত আছে, নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজবাড়ির কাছে কর্ণফুলী নদীর তীরে সমতল ভূমিতে এই বট গাছের চারা রোপণ করেন। পরবর্তীতে দিনে শত শত পাহাড়ি জনতা নৌকায় করে এসে কর্ণফুলীতে পুণ্যস্নান করতেন। এরপর দেবতাজ্ঞানে এই গাছের নিচে পূজা দিয়ে রাজার দর্শনে যেতেন।
১৯৫৮ সালে কাপ্তাই বাঁধ সৃষ্টির পর গাছটি ডুবে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। কথিত আছে, এক রাতে রাজা অংশু রায় স্বপ্ন দেখেন যে, গাছটি বাঁচার জন্য মিনতি করছে। পরদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি গাছটিকে তুলে বর্তমান স্থানে রোপণ করেন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত গাছটি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে একরকম তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচিত হতো। পরবর্তীকালে কাপ্তাইয়ে নৌবাহিনীর ঘাঁটির আওতায় আসে বৃক্ষটি। বর্তমানে এটি ৪০-৫০ ফুট উঁচু।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ মধুসূদন দে বলেন, গাছটির অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটা যেমন শোভাবর্ধন করে তেমন, ছায়া প্রদান করে। স্থানীয় অনেকেই এটাকে দেবতা বলে মান্য করেন।