শরিফুল রাজ ও পরীমণির দাম্পত্য জীবন যেন শরতের আকাশ। এই মেঘ, এই বৃষ্টি, তো কিছুক্ষণ পরেই আবার ঝলমলে রোদ। আলাদা থাকার ঘোষণা দিচ্ছেন, দুদিন পরে হাতে হাত রেখে ছবি তুলছেন, একসঙ্গে থাকছেন, আবার একে অপরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এই মেঘ-রোদ্দুরের খেলায় ভক্তরা যখন ক্লান্ত, তখনই এল আনুষ্ঠানিক ডিভোর্সের ঘোষণা। প্রচলিত আইন মেনেই তাঁদের সম্পর্ক গড়াচ্ছে বিচ্ছেদের দিকে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার কাজি অফিস থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ডিভোর্স লেটার পাঠান পরী। কাজি আবু সাঈদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৮ সেপ্টেম্বর রাতে পরীমণি তাঁর আইনজীবীসহ আমার অফিসে এসেছিলেন। তালাকের নোটিশ মো. শরীফুল ইসলাম বরাবর পাঠানো হয়েছে। তালাকের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মতের মিল না হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তির কথা।’
পরীমণির আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তালাক দিতে হলে রেজিস্টার্ড কাজির মাধ্যমে নোটিশ দিতে হয়। নোটিশের প্রক্রিয়া মেনে তিন মাস পর তা কার্যকর হয়। চিত্রনায়িকা পরীমণি সে নিয়ম মেনেই নোটিশ পাঠিয়েছেন। সাংসারিক জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে পরীমণি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
গতকাল ডিভোর্স লেটার প্রকাশ্যে আসলেও আগের দিন মধ্যরাতেই এর আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে পরীমণি অভিযোগ করেন, রাজ ও তাঁর এক পাতানো বোন পরীর গায়ে হাত তুলেছেন। কিছু সময় পরে সেই পোস্টটি মুছে ফেলেন পরী।