কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকার শহররক্ষা বাঁধে ধস শুরু হয়েছে। গড়াই নদের পানি নেমে যাওয়ায় আকস্মিকভাবে এ ধস শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাঁধ এলাকায় বসবাসকারী ও ছিন্নমূল ভূমিহীনদের কয়েকশ বসতবাড়ি।
সরেজমিনে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর রাতে পৌর এলাকার শহর রক্ষার বাঁধ ধসে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বড় গর্তে পরিণত হয়। বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট নদীগর্ভে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধটি অনেক পুরোনো। মজবুত করে সংস্কার করা হয়নি। তাই এবার বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবারের ভাঙনের যে তীব্রতা তা দ্রুত প্রতিরোধ করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে শহরে পানি ঢুকে পড়বে।
শেরকান্দি বাঁধ এলাকার ছমির সেখ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাঁধের ভাঙন শুরু হয়। শুক্রবার সকালেও ভাঙন দেখা যায়। নদীতে পানি বাড়লেও ভাঙে, কমলেও ভাঙে। এতে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। মোশারফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ভাঙন লাগার পাঁচ দিন হয়ে গেল। কর্তাদের খোঁজ নেই। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস এম রফিক বলেন, হঠাৎ শুকনো মৌসুমে বাঁধে ভাঙনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। শুধু ভাঙন এলাকা নয়, পুরো শহরজুড়ে আতঙ্ক। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে কুমারখালী শহর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, এর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) আবাসন ও নদীর আশপাশের এলাকা ভাঙন বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া পাউবোর উপপ্রকৌশলী মোহা. সালাহ উদ্দিন বলেন, বাঁধটি অনেক পুরোনো। বাঁধের ভাঙন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।