১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’। নামভূমিকায় অভিনয় করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শবনম। ওটাই শবনম অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা। নিভৃত জীবন কাটানো এই অভিনেত্রীকে দীর্ঘদিন পর পাওয়া গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইফতার মাহফিলে।
গত শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারের একটি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ইফতার মাহফিল। সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের আমন্ত্রণে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শবনম। ছিলেন অভিনেতা মাহমুদ কলিও। চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে শবনম বলেন, ‘উপযুক্ত চরিত্রের অভাবে “আম্মাজান” চলচ্চিত্রের পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি। ইচ্ছে থাকলেও একই সঙ্গে মনের মতো চিত্রনাট্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর কাজ করা হয়নি।’
দীর্ঘদিন পর সহকর্মীদের পেয়ে উৎফুল্ল শবনম বলেন, ‘পুরোনো অনেকেই তো এখন আর বেঁচে নেই। দেখা হলো মাহমুদ কলির সঙ্গে। আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গেও অনেক দিন পর দেখা। পুরোনো দিনের অনেক টেকনিশিয়ানের সঙ্গে কথা হলো। নতুন অনেক নায়ক-নায়িকাকেও দেখলাম। সময়টা সুন্দর কেটেছে।’
শবনম বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রই তো আমার আরেকটা পরিবার। লম্বা সময় দূরে ছিলাম কিন্তু মনে পড়ত অনেকের কথা। আমি যে ঝর্ণা বসাক থেকে শবনম হয়েছি, সেটা চলচ্চিত্রের কারণে। তবে চলচ্চিত্রের কোনো আয়োজনে না থাকলেও রুনা লায়লার জন্মদিনে তাঁর বাড়িতে গিয়েছি। কিছুদিন আগে সুচন্দা আপার আমন্ত্রণে ববিতা, চম্পাসহ একটা অনুষ্ঠানে আমরা একত্র হয়েছিলাম। সেখানেও নিজেদের মতো সুন্দর সময় কেটেছে। মাঝেমধ্যে ঘরোয়া আয়োজনে কাছের কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। ভালোই লাগে। কিন্তু চলচ্চিত্রের কোনো আয়োজনে এবার গিয়ে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করেছে।’
মাহমুদ কলিও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন না বহু বছর। তিনিও এসেছিলেন শিল্পী সমিতির ইফতার মাহফিলে। মাহমুদ কলি বলেন, ‘নিজের বিভিন্ন কাজ নিয়েই আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, চলচ্চিত্রকে ভুলে যাইনি। দীর্ঘদিন পর অনেকের সঙ্গে দেখা হয়ে ভীষণ ভালো লাগল।’