পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। আত্মত্যাগের এই উৎসব ঈদের নামাজ ও কোরবানির মাধ্যমে পালিত হয়। ঈদুল আজহার দিনে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতএব তোমার প্রতিপালকের জন্য নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার, আয়াত: ২)
ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের মাধ্যমে ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়। ঈদের দুই রাকাত নামাজের মধ্যে আজান-একামত নেই। ফরজ নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধতে হবে। তারপর সানা পড়ে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলতে হবে। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দিতে হবে এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলতে হবে। তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমামকে সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাতে হবে। তারপর ফরজ নামাজের মতোই রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কেরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিতে হবে। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবে এবং ছেড়ে দেবে। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবে। তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবে।
নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠে দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা এবং তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এ সময় কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া নিষেধ। খুতবা শেষে সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবে।
মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক