ডাঙায় নৌকায় চড়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মলি। গতকাল বুধবার তিনি পায়রাবন্দ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোয়ারা বিশেষভাবে তৈরি নৌকায় চড়ে ১৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন। নৌকার চালক রবিউল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন ভক্ত। তিনি উপজেলার পারুল ইউনিয়নের গুঞ্জর খা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শখ করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি নির্মাণ করেছেন।
রবিউল জানান, তাঁর নৌকায় সাধারণ যাত্রী ওঠানো হয় না। আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মসূচিতে এটি ব্যবহার করা হয়। ইউপি নির্বাচনে পীরগাছা, কাউনিয়া, জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার কয়েকজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বহন ও তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণায় এই নৌকা ব্যবহার করা হয়েছে।
নৌকার ভাড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রবিউল বলেন, দাবি বা চুক্তি করে টাকা নেন না। প্রার্থীরা খুশি হয়ে যা দেন হাসি মুখে তা নেন। নৌকাটি কত দিন রাখা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি থাকব না কিন্তু শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ যত দিন থাকবে নৌকাটিও তত দিন থাকবে।’ নৌকাটি প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
মিঠাপুকুরে স্বাধীনতার পর মনোয়ারাই প্রথম নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই পায়রাবন্দ থেকে বেগম রোকেয়া যদি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পশ্চাৎপদ নারী সমাজকে আলোকিত করতে পারেন, তাহলে আমরা পিছিয়ে থাকব কেন? আমিও অবহেলিত নারী সমাজের উন্নয়ন এবং পায়রাবন্দকে মাদক, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত করতে চাই। আলোকিত ও উন্নয়নের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে পায়রাবন্দ গড়ার জন্যই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’
নৌকা প্রতীক দেওয়ায় মনোয়ারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি পায়রাবন্দ ইউনিয়নের সব শ্রেণির মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন।