মাদারীপুরের কালকিনি থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালত চত্বরে থেকে ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী নান্নু মোল্লাকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে সাদা পোশাকে জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে নান্নু মোল্লাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে একই দিন বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার নিন্দা প্রকাশ ও জড়িতদের বিচারের দাবি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, শনিবার কালকিনি আলীনগর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কালকিনি থানায় ২৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। এই মামলার প্রধান আসামি নান্নু মোল্লা। পরে রোববার সকালে নান্নু মোল্লাসহ মামলার সকল আসামি আদালতে জামিনের আবেদন করে আদালত চত্বরে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সকাল ১১টায় সাদা পোশাকে কয়েকজন মিলে নান্নু মোল্লাকে আদালত চত্বর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
নান্নু মোল্লার স্ত্রী শাহিনুর বেগম বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে আলীনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী নান্নু মোল্লা। তাঁর প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় খগেন্দ্র মণ্ডলের বাড়িতে শনিবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা সাজিয়ে থানায় মামলা করেন। হয়রানিমূলক মামলায় ২৪ জনকে আসামি করা হয়। তাঁরা জামিনের শুনানির জন্য আদালত চত্বরে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সাদা পোশাকের লোক আমার স্বামীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।’
সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আল-মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্রের সঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে কথা বলতে বলেন। তবে পুলিশ বিভাগের মিডিয়া মুখপাত্র চাইলাউ মারমা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘আদালত চত্বরে নয়, রাস্তা থেকে আসামি নান্নু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’