ট্রেনে কাটা পড়ে তিন স্কুলছাত্রী নিহতের ঘটনায় উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় শোকের আবহ বিরাজ করছে। নিহতদের স্বজনদের আহাজারি থামছেই না। তাদের সমবেদনা জানাতে বাড়িতে ছুটে আসছেন আশপাশের মানুষজন।
এদিকে সহপাঠী হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে পড়েছে সহপাঠীরা। তারও নিহতের বাড়িতে ভিড় করছে। ঘটনার পর গতকাল তারা বিদ্যালয়ে যায়নি। এই দিন বিদ্যালয় বন্ধ রেখে যেন শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ডকে শোক পালনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সহপাঠী ও শিক্ষকেরা জানান, নিহত শিক্ষার্থীরা একই মহল্লার হওয়ায় সব সময় একসঙ্গে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করত। খুব শান্ত প্রকৃতির ছিল তারা। তাদের মৃত্যু যেন কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। যেন তিনজন সখী ফুল কুড়াতে কোথাও গিয়েছে। সন্ধ্যা নামার আগেই ফিরে আসবে।
নিহত মিমের মামা ফারুক মিয়া জানান, মিমের বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী। তাই মিমের মা রিনা আক্তার ও ভাই ফরহাদ এখানে থাকেন। মিমের মা গার্মেন্টসে কাজ করে পরিবার চালান। সে একাই স্কুলে যেত।
নিহত তাসপিয়ার নানা মো. রতন মিয়া জানান, তাসপিয়ার দুই ভাই। বাবা ওমান প্রবাসী। নানার বাড়িতে থেকেই সে লেখাপড়া করত।
নিহত লিমার কাকা আবু তাহের জানান, দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে লিমা ছিল সবার ছোট। এক বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তার বাবা একজন সবজি বিক্রেতা। ভাই বাবার সঙ্গে ব্যবসায় সহযোগিতা করেন।
বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাদেকুর রহমান বলেন, ‘রেললাইন পারাপারে সতর্ক করলেও ছোট মানুষ সব সময় খেয়াল রাখতে পারে না। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন।’