ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে পরিত্যক্ত সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা শরীরচর্চার মাধ্যমে ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন একদল যুবক। শরীরচর্চার এমন সৃজনশীল কাজ সাড়া ফেলেছে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতের কাছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট-বালি, মাটি-সিমেন্ট, প্লাস্টিকের পাইপ, বোতল, গাছের ডাল, বাঁশ-খুঁটিসহ পরিত্যক্ত সব সামগ্রী দিয়ে বানানো হয়েছে শরীরচর্চার বিভিন্ন সরঞ্জাম। তৈরি করা হয়েছে ডাম্বেল, বারবেল, পুল আপ বার, দড়ি লাফসহ আধুনিক ব্যায়ামাগারের সব সরঞ্জাম। কোমলপানীয়ের পরিত্যক্ত বোতলে বালু পুরে তৈরি করা হয়েছে বারবেল। ইট-সিমেন্ট আর বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে ডাম্বেল। পরিত্যক্ত দড়ি, টায়ার ও বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে পুল আপ বার। সাইকেলের পুরোনো টিউ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রেসিস্ট্যান্ট ব্যান্ড।
ব্যায়ামাগারটিতে শরীরচর্চা করতে আসা যুবকেরা জানান, করোনার এই সময়ে শরীরচর্চা খুবই জরুরি। কিন্তু জেলা ও উপজেলা শহরে কোনো ব্যায়ামাগার নেই। পরে সবুজের এই ব্যায়ামাগারের খোঁজ পেয়ে এখানে এসে শরীরচর্চা শুরু করেন তাঁরা। নিজেদের সুঠাম ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করছে ব্যায়ামাগারটি। পাশাপাশি বাড়ছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
উদ্যোক্তা এপি পলাশ বলেন, উপজেলা শহর এমনকি অনেক জেলা শহরেও ভালো ব্যায়ামাগার নাই। আর করোনার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাতেও এসেছে স্থবিরতা। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আশা করি একদিন বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামে এমন ব্যায়ামাগার গড়ে উঠবে।