হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর এ সুযোগে মাগুরার বিভিন্ন হাটবাজারে ঢুকে পড়েছে পচা পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজের দামও রাখা হচ্ছে বেশি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
মাগুরা নতুন বাজার এলাকায় রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। শত বছরের পুরোনো এ হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন কম দামে সবজি ও তরকারি কেনেন। এ রকম একজন সেলিম হোসেন। শিক্ষকতা করেন জেলার একটি কলেজে। তিনি জানান, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছি ৪২ টাকায়। সেই পেঁয়াজের মানও ভালো ছিল। এখন পেঁয়াজ ৭০ টাকা। তাই হাটে এসেছি কম দামে কিনতে। এখানে দেখি বাজার থেকে দাম বেশি। ৮০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা নুরুল মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে সকালে গিয়ে পেঁয়াজ কিনেছি। ভালো মানের পেঁয়াজ এখন সেখানেও কম। বেশির ভাগ পেঁয়াজ পচে গেছে। খোসা নেই। পেঁয়াজ থেকে গন্ধ বের হয়, যা ভালো পাইছি কিনে আনছি।
গতকাল সোমবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পেঁয়াজ কালো হয়ে গেছে। পেঁয়াজে মাছি পড়ছে। দুর্গন্ধ পাচ্ছেন পথচারীরা।
পেঁয়াজ কম দামে কিনে হতাশ হয়ে জাকির মোল্যা বলেন, ৭০ টাকায় পেঁয়াজের খোসা কিনলাম। হাট ঘুরে দেখলাম ৮০ টাকার নিচে পেঁয়াজ নেই। আমি যা কিনেছি তার সাইজ ছোট এবং নরম।
ক্রেতাদের অভিযোগ, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণ গুদামজাত করে রাখা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আটকে রেখেছেন যখন তা ২৫ টাকা কেজি ছিল। এখন ভালো পেঁয়াজের সংকট থাকায় মাস ছয়েক আগের স্টোর করা পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
মাগুরা জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ক্রেতা যদি মনে করেন পেঁয়াজ কিনে ঠকেছেন তবে অভিযোগ দিতে পারেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিই।
এ বিষয়ে মাগুরা পুরাতন বাজার সমিতির সভাপতি জিয়া ইসলাম জানান, পচা পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করেছে। আমরা বিক্রেতাদের সতর্ক করছি। পাশাপাশি ক্রেতাদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।