‘হারা জীবন নৌকা আছিলাম, কোনো দিন মাডিতে হুইয়া (মাটিতে ঘুমিয়ে) পর্যন্ত দেহি নাই। এহন সরকার আমাগো ডাঙায় ঘর দেবে আর নৌকায় থাকতে হইবে না’ কথাগুলো বলছিলেন রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজের জলেভাসা মানতা পল্লির রুস্তম সরদার।
মানতা পল্লির সব থেকে বয়স্ক রুস্তম সরদারের বয়স এখন ৯০–এর কোঠায়। জন্ম থেকে এই বয়স পর্যন্ত তাঁর পরিবারের ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতি সবাই নৌকায় বসবাস করছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি এখন সেমিপাকা টিনের তৈরি ঘরে উঠবেন, এটা শুনে তাঁর যেন অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হচ্ছে না। শুধু রুস্তম সরদার না, আরও ২৯টি মানতা পরিবার নদী থেকে ডাঙায় ফিরছে।
রাঙ্গাবালীর ইউএনও মাসফাকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হলেও মানতা পরিবারে কারও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। এ কারণে গত বছর তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয় এবং এ বছর তাঁদের ঘর দেওয়া হবে।’