মাদারীপুরের শিবচরে ৩২ জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের অপরাধে গত শনিবার সন্ধ্যায় তাদের এই সাজা দেওয়া হয়।
একই সময় ইলিশ মাছ ক্রয়ের অপরাধে ৩ নারীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর শিবচর অংশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে ৩৮ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ ও পুলিশের একটি দল। এ সময় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৩২ জেলেকে নদী থেকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করা হয়। আর ইলিশ মাছ ক্রয়ের অপরাধে ৩ নারী ক্রেতাকে আটক করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে জব্দকৃত প্রায় ৩০ হাজার মিটার জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং জব্দকৃত ২০ কেজি ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চলছে। ইলিশ মাছ নিধনের অপরাধে ৩২ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাছ ক্রয়কালে ৩ নারী ক্রেতাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ওঝাঁ জানান, এ পর্যন্ত ৭০ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ অপরাধ করলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কোনোভাবেই অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা যদি মা ইলিশ রক্ষা করতে পারি, তাহলে সারা বছর ইলিশ খেতে পারব।’