একটা ম্যাচ কি ভবিষ্যৎ ঠিক করে দিতে পারে? মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদের কথায় অন্তত তা-ই মনে হতে পারে। এটা ম্যাচ ঠিক নয়, ফাইনাল বলাই ভালো। আলফাজ আহমেদের দল সেই ফাইনাল জিততে ভীষণ উন্মুখ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, মোহামেডানের ভবিষ্যৎ যেন ঝুলে আছে আবাহনীর বিপক্ষে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ঘিরে!
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে মুখোমুখি বাংলাদেশের ফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান। এই টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর চ্যালেঞ্জ, নিজেদের মুকুট ধরে রাখার। আর ১০ বারের সেরা মোহামেডান চায় ২০০৯ সালের পর আবারও এই শিরোপার স্বাদ নিতে। ২০১৪ সালে স্বাধীনতা কাপ জয়ের পর ট্রফি শোকেসে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, মোহামেডান চায় সেই দীর্ঘ হাহাকারের সমাপ্তিও টানতে।
নানা কারণেই অবশ্য ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিততে চায় মোহামেডান। ২০০৭ সালে পেশাদার লিগ চালুর পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী যেখানে একের পর এক পেরিয়েছে সাফল্যের সিঁড়ি, মোহামেডান সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ে হারিয়ে খুঁজছে নিজেদেরও। হারিয়ে খুঁজতে থাকা মোহামেডান নিজেদের সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে ২০১৪ সালে। আবাহনীর সঙ্গে তাদের সবশেষ ফাইনাল ২০১১ সুপার কাপে। এক যুগের দীর্ঘ খরায় আবাহনী-মোহামেডান ফাইনালের উত্তেজনা যেন ভুলেই যেতে বসেছে বাংলাদেশের ফুটবল দর্শকেরা।
বিপিএল ফুটবলের মাঝপথে মোহামেডানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আলফাজ। তাঁর দায়িত্বে দলের পরিবর্তন নিয়ে মোহামেডানেরই সাবেক ফরোয়ার্ড বলছিলেন, ‘আমি কোচ হওয়ার পর একটা পরিবর্তন এসেছে। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে দলে পরিবর্তন এসেছে। আমি কোচ হিসেবে অনেক খুশি। আমাদের একটা শিরোপা দরকার। দলও শিরোপা জিততে ক্ষুধার্ত।’
লেমোসের আবাহনী অধ্যায়ে এটিই প্রথম আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ডার্বির উত্তেজনা নিজেও টের পাচ্ছেন তিনি, ‘যে ডার্বি ঘিরে এমন ইতিহাস, আবেগ আর উত্তেজনা, তার মধ্যে তো রোমাঞ্চের উপস্থিতি থাকবেই। আমিও রোমাঞ্চিত। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের অংশ হতে পেরে সত্যিই ভাগ্যবান আমি।’
লম্বা বিরতির পর হওয়া এমন একটি ঝাঁজালো ফাইনালে জিততে পারলে আরও ভাগ্যবান মনে করতে পারেন লেমোস। কিন্তু আলফাজের মোহামেডান কি তা আর হতে দেবে?