হোম > ছাপা সংস্করণ

শব্দের আড়ালে গল্প: ফাতরা

রাজীব কুমার সাহা

‘ফাতরা’ শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। কখনো কখনো বন্ধুদের আড্ডায় বলতে শুনেছি ‘ফাতরামি করিস না।’ এই ফাতরা শব্দ থেকেই ফাতরামি শব্দটির উৎপত্তি। একটি ব্যক্তিবাচক অর্থ এবং অপরটি তার আচরণকে নির্দেশ করে। কিন্তু এই ফাতরা আসলে কী? শব্দটি কীভাবে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে? আজ জানব এর আদ্যোপান্ত।

ফাতরা শব্দটি কোনো বিদেশি ভাষার শব্দ নয়। এটি দেশি শব্দ। ‘ফাতরা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো (বিশেষ্যরূপে) কলাগাছের শুকনো পাতার খোল। এর আরেকটি অর্থ হলো বৃষ্টির সময় গ্রামাঞ্চলে মাথা ও পিঠের আবরণ হিসেবে ব্যবহৃত কলাগাছের শুকনো পাতার খোল। আলংকারিকভাবে বিশেষণরূপে এর অর্থ বাজে, তুচ্ছ, খেলো; ধূর্ত; বাচাল প্রভৃতি। আর ফাতরামি শব্দের অর্থ ফাজলামি, দুষ্টামি, ছেলেমানুষি, ধাপ্পাবাজি প্রভৃতি। 

ফাতরা শব্দটির উৎপত্তি কলাগাছ থেকে। আমাদের দৈনন্দিন গ্রামীণ জনজীবনে একসময় কলাপাতা ছিল অতীব দরকারি বস্তু। যদিও কালের পরিক্রমায় কলাপাতার ব্যবহার এখন আর আগের মতো নেই। বিবিধ প্রয়োজনে সংগ্রহের জন্য গাছ থেকে কলাগাছের পাতা ধরে টান দিলে পাতার সঙ্গে শুকনো বাকল ফড়ফড় শব্দে উঠে আসে। মূলত এই ফড়ফড় শব্দের কারণেই এটিকে ‘ফাতরা’ নামে অভিহিত করা হয়। পাশাপাশি কলাপাতার সঙ্গে উঠে আসা শুকনো বাকল বিরক্তিকর এবং মূল্যহীন বিধায় ফাতরা শব্দের আলংকারিক অর্থগুলোর (বাজে, তুচ্ছ, খেলো প্রভৃতি) রূপ পরিগ্রহ করেছে। যদিও ভাষাভাষী সমাজে ফাতরা শব্দের আভিধানিক এবং আলংকারিক উভয় প্রকার অর্থেরই উপযোগিতা রয়েছে। 

কী দারুণ নৈপুণ্যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনপ্রণালি থেকে এমন মজার শব্দ অভিধানে ঠাঁই করে নিয়েছে, ভাবলে সত্যিই অবাক হই!

রাজীব কুমার সাহা ,আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ