একটা সময় নিয়মিত দেখা হলেও হঠাৎ দুই দলের লড়াইয়ের মাঝে ১৫ বছরের বিরতি। লম্বা সময় পর আবারও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পুরোনো প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে আজ দেখা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের।
সর্বশেষ ২০০৭ সালের আগস্টে মারদেকা কাপে ইন্দোনেশিয়ার দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছিল ১-০ গোলে। দীর্ঘ বিরতির পর গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও ১৩ ফুটবলারের করোনা টিকা না থাকায় তখন ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচই খেলেনি বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব সামনে রেখে প্রীতি ম্যাচের মোড়কে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া।
বান্দুংয়ের জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচে জামাল ভূঁইয়া এগিয়ে রাখলেন স্বাগতিকদেরকেই। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা জানি, ম্যাচটা কঠিন হবে। ইন্দোনেশিয়া অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। ম্যাচে অবশ্যই তারা জিততে চাইবে। নিজেদের ওপর আমাদের ভরসা আছে। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে লড়ার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে এবং ভালো একটা ম্যাচ উপহার দিতে পারব।’
বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় ৩৭ বছর আগে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও কায়সার হামিদ ও আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নুর গোলে ২-১ গোলে দারুণ একটা জয় পেয়েছিলেন আশীষ ভদ্ররা। বাংলাদেশের বর্তমান দলে নেই প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকার। এর মধ্যে অনুশীলনে চোটে পাওয়ায় অনিশ্চিত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সোহেল রানা। পাসপোর্ট জটিলতায় ইন্দোনেশিয়া যেতে পারেননি উইঙ্গার মাহবুবুর রহমান সুফিল। দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সরাসরি মালয়েশিয়াতে, বাছাইপর্বের আগে।
দুর্বল আক্রমণভাগ নিয়েই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। তিনি বলেছেন, ‘অনুশীলন সেশনগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী হওয়ায় আমি খুশি। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারা আমাদের জন্য বড় এক সুযোগ। প্রতিটি ফুটবলারের জন্য সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।’
বাংলাদেশের মতো ইন্দোনেশিয়াও চায় এশিয়ান কাপের আগে ভালো একটা প্রস্তুতি। আজকের ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে নিজেদের ১৫৯তম র্যাঙ্কিংটাকেও বাড়ানোর কথা জানালেন ইন্দোনেশিয়া অধিনায়ক ফখরুদ্দিন আরিয়ানতো, ‘বাংলাদেশকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়েও আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’