অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটির সাজেক। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা, সরু মেঠো পথ ও উঁচু-নিচু পথের দেখা মিলে সাজেকে যেতে। শহরের কোলাহল ছেড়ে পর্যটকেরা এখানে ঘুরতে আসেন। পাহাড়ের জুমের সতেজ ফলের প্রতি এসব পর্যটকদের আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। সাজেকে যাওয়ার পথে বাঘাইছড়ি উপজেলার কিয়াংঘাট এলাকায় হঠাৎ দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি জায়গায় হরেক রকমের জুম ফলের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন স্থানীয় জুম চাষিরা। এসব ফলের মধ্যে ডাব, বেল, পেঁপে, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, আখ, জাম্বুরা, বিভিন্ন রকমের কলাসহ মৌসুমি ফলের দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রিজিত চাকমা (৫৫) বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ সাজেকে আসেন। সবার সুবিধার জন্য বাঘাইহাট সেনাবাহিনীর ১২ বীরের জোনের সামনে আমরা ১০-১৫ জন ফল বিক্রেতা একত্রিত হই। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কিয়াংঘাটে পাহাড়ের সতেজ জুমের ফল বিক্রি করে থাকি। এতে দিনে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হয় আমার।’
এ সময় ফল বিক্রেতা মো. হানিফ (৬০) বলেন, শহরের মানুষ পাহাড়ের ফলের প্রতি একটু চাহিদা বেশি থাকে। এখানে সব সময়ই ফল বিক্রিয় হয় না, তবে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার এই ৩ দিন ফল বিক্রি বেশি হয়। এতে দিনে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করে থাকি।
এদিকে পর্যটক সুবর্ণা দে (২৬) জানান, সাজেকে যাওয়ার সময় হঠাৎ রাস্তার পাশে এভাবে পাহাড়ের সতেজ জুমের ফল নিয়ে বসে আছে দেখে খুব ভালো লেগেছে। খাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে কমলা ও বেল নিয়েছি।
আরেক পর্যটক মো. রফিক (৩৮) বলেন, পাহাড়ের ফল সুস্বাদু আর তাজা হওয়ায় দুর্বলতা বেশি কাজ করে। এসব ফলের হাট সড়কের পাশে হওয়া পর্যটকদের জন্য সুবিধে রয়েছে। কম সময়ে আর সহজে কিনে খাওয়া যায়।