পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী নদ-নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় পাথরের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তেঁতুলিয়া উপজেলার কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক।
জানা গেছে, তেঁতুলিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদনদী থেকে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েক হাজার মানুষ। তেঁতুলিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করেই চলে তাঁদের সংসারের চাকা। প্রায় ৫০ বছর ধরে নুড়ি পাথর উত্তোলন করে জীবনযাপন করেন এসব মানুষ। করতোয়া ও ডাহুক নদী থেকেও পাথর উত্তোলন করেন হাজার হাজার শ্রমিক।
বর্তমানে তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিরাজ করছে হাড় কাঁপানো শীত। অধিকাংশ দিনেই এই উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে নদীর পানি হিম শীতল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি শীতের মৌসুমের শেষ দিকে কমে এসেছে পানির প্রবাহ। এতে পাথর আসছে কম। আয় রোজগার কমে গেছে পাথর শ্রমিকদের। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
ঝড়ুয়াপাড়া গ্রামের পাথর শ্রমিক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘আগে রোজগার বেশি হতো। এখন দিনে ৩০০-৫০০ টাকা আয় করাই কষ্ট হয়ে পড়েছে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, ‘বাংলাবান্ধা থেকে ভজনপুর এলাকা পর্যন্ত নদনদীর অববাহিকা থেকে পাথর সংগ্রহ করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। সীমান্ত নদনদীগুলোর উৎসমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণের কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবাহিত এসব নদনদীর অংশে পানি প্রবাহ কমে গেছে। সেভাবে পাথর পাওয়া যায় না। ফলে পাথর শ্রমিকদের আয় রোজগার কমে গেছে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, যুগ যুগ ধরে এই এলাকার মানুষ তাঁদের মূল পেশা হিসেবে নদী থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছেন। তীব্র শীতে এসব মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।