আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অভয়নগরের ৮টিতে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রত্যাশীরা।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩৭৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৩টি ও সাধারণ ওয়ার্ড ৯টি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ সময়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ নম্বর সুন্দলী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ২৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২ নম্বর সুন্দলী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৩ নম্বর চলিশিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৪ নম্বর পায়রা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫ নম্বর শ্রীধরপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৬ নম্বর বাঘুটিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
৭ নম্বর শুভরাড়া ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৭ জন। ৮ নম্বর সিদ্ধিপাশা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৭ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৪১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন নির্বাচনে।
স্বতন্ত্রের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের সংখ্যা বেশি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে তিন দিন পিছিয়ে ২৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
এ দিকে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না এমন বিধান থাকলেও অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীই সমর্থকদের নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। তাঁরা ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন।