বৃদ্ধা আছিয়া বেগম। ভাঙাচোরা টিনের ঘরে থাকেন স্বামীকে নিয়ে। তাঁর নেই নিয়মিত রোজগার। এতে নানা কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়। এমন অবস্থায় একটি ঘরের জন্য আকুতি তাঁর।
আছিয়া বেগমের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামে। স্বামী জয়নাল আবেদীন খেলু ফকির আগে কটকটি বিক্রি করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অসুস্থ হওয়া রোজগার নেই। এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
বৃষ্টি এলেই বাড়ে দুর্ভোগ, টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হলেই অসহায় দম্পতি ছুটে যান অন্যের ঘরে। চার শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া নেই কোনো সম্বল।
আছিয়া বেগম বলেন, ‘৫০ বছর স্বামীর সঙ্গে ভাঙা ঘরে কাটাইছি। এখন শেষ বয়সে থাকতে খুবেই কষ্ট হয়। একটা ঘর হলে শান্তি নিয়ে মরতে পারব।’
গকুলনগর গ্রামের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘তাঁরা খুব অমানবিক জীবনযাপন করছেন। আমরা সরকারের বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে আসছি তাঁদের। একটি ঘর পেলে হয়তো তাঁরা শেষ জীবনে একটু শান্তি পাবেন।’
শাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। যদি কোনো প্রকল্প আসে তাহলে আমরা এই পরিবারটির নাম পাঠাব।’