হোম > ছাপা সংস্করণ

চারটি বাড়ির মালিক তবু বাড়িছাড়া কফিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

৪টি বাড়ির মালিক হওয়া সত্ত্বেও পথে পথে ঘুরছে হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের কফিল উদ্দিন নামের কুয়েত ফেরত এক ব্যক্তি। স্ত্রী ও ছেলের নির্যাতন থেকে বাঁচতে সহায়তা চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। এ সময় তিনি নিজের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে সাইফুল ইসলামের করা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

কফিল উদ্দিন তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বড় ভাই আব্দুল মজিদ মারা যাওয়ার তিন বছর পর ১৯৯২ সালে তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে বিয়ে করি আমি। আমি দীর্ঘ ২৬ বছর কুয়েতে প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০১৯ সালে দেশে চলে আসি। প্রবাসে থাকা অবস্থায় প্রতিবারই দেশে ছুটিতে আসার পর জায়গা-জমি কিনেছি।’

কফিল উদ্দিন বলেন, ‘দেশে একেবারে চলে আসার আগেরবার জমি কেনার জন্য আমার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা দিয়ে গিয়েছিলাম। দেশে আসার পর আমার নিজের ছেলে সাইফুল ইসলাম ব্যবসার জন্য টাকা দিতে আমাকে চাপ দিতে থাকেন। পরে ১২ লাখ টাকা খরচ করে স্থানীয় বাজারে তাকে একটি কাপড়ের দোকান করে দিই। আমার স্ত্রীর কাছে জমি কেনার জন্য দিয়ে যাওয়া ১০ লাখ টাকার হিসাব চাইলে হিসাব না দিয়ে উল্টো তার এবং আমার ছেলে সাইফুলের নামে জায়গা-সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তারা সকল সম্পত্তির দলিল নিজেদের কবজায় নিয়ে নেন। বিদেশে থাকা আমার ভাইয়ের চার ছেলের পরামর্শে তারা আমার ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে।’

কফিল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাকে ঘরে আটকে রেখে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন চালায় তারা। একপর্যায়ে আমাকে শরবতের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। পরে অচেতন অবস্থায় আমার টিপসই নিয়ে কিছু সম্পদ তাদের নামে লিখে নেয়। আমি বাঞ্ছারামপুর থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর থেকেই আমি বাড়িছাড়া। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে আমার স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলার পর থেকে আমাকে মারার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে তারা।’

কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমার নিজের ঘর-বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আমার ওপর যে অন্যায়, অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, সেটির বিচার চাই।’

তবে বাবাকে নির্যাতন করে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে কফিল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা নিজের ইচ্ছায় আমাদের সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। বাবাকে কখনোই সম্পত্তির জন্য নির্যাতন করা হয়নি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ