সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক রাজিউল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। কলেজ ছাত্রদলের এ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের মিছিল মিটিংয়ে থাকার ছবিও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের প্রত্যয়নপত্র জালিয়াতির অভিযোগও উঠেছে।
এরপরেও কেন তাঁকে ছাত্রদলের দায়িত্ব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্থানীয় ছাত্রদলের কর্মী-সমর্থকেরা।
জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন ওই কমিটি অনুমোদন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের দায়িত্ব পাওয়ার পর পুরোনো সংগঠনের কার্যক্রমে প্রকাশ্যে না এলেও ইতিপূর্বে রাজু ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিল। পরে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হলে রাজু নিষ্ক্রিয় হয় এবং কৌশলে ছাত্রদলের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি ছাত্রদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব রাজিউল ইসলাম রাজু ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে ছবির বিষয়ে বলেন, ‘তখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ি। অল্প বয়সে সবাই মিছিলে যেতে বলায় গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করিনি। এই মুহূর্তে ঢাকার এশিয়ান প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি। তবে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজেও আমার ছাত্রত্ব রয়েছে। মূল সনদপত্র বিশ্ববিদালয়ে জমা দেওয়ার বাধ্য বাধকতা না থাকায় আমি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়াশোনা করছি।’
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন জানান, ইতিপূর্বে কলেজ ছাত্রদলের ওই নেতাকে নিয়ে এমন ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে যদি কেউ তার ব্যাপারে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাসহ সরকারি কলেজের ছাত্র না হয়েও ছাত্রদলের দায়িত্ব পেয়ে থাকে তবে প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সজিব জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে জেলা ছাত্রদল ব্যবস্থা নেবে।