হোম > ছাপা সংস্করণ

ইমো প্রতারণার কেন্দ্র লালপুর

ইমাম হাসান, লালপুর (নাটোর)

নাটোরের লালপুরে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে ২০১৮ সালে দেশের ইমো অ্যাপে ডিজিটাল প্রতারণা চক্রের উৎপত্তি হয়। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে আড়ি পেতে বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় র‍্যাব, পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযানে ১৩৮ জন ইমো হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, লালপুরের কোনো এক ব্যক্তি ২০১৮ সালে প্রবাসীর ইমো নম্বরের দখল নিয়ে প্রতারণা করে বেশ কিছু টাকা আদায় করে নেন। এরপর তিনি দল ভারী করে এ কাজে নেমে পড়েন। তাঁর দেখাদেখি শুরু হয় প্রতারণার কাজ। পরে লালপুরের পাশের অনেক তরুণ-যুবকও এ কাজে নেমে পড়েন। ইমো অ্যাপ হ্যাকিংয়ের অভিযোগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বাড়ি লালপুরে।

ইমো কম শিক্ষিত মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রায় সবাই এ অ্যাপ ব্যবহার করে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ অ্যাপে কম ব্যান্ডউইথড লাগে, আবার একসঙ্গে একাধিক ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। হ্যাকাররা সে সুযোগই নেন।

১৬ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘দেশজুড়ে ইমোর মাধ্যমে প্রতারণা কেন্দ্র লালপুর’ শিরোনামে প্রধান সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর স্বপ্রণোদিত হয়ে ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ। আদেশে বলা হয়, নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একটা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমো হ্যাক করে প্রতিদিন প্রবাসীসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যা আমলযোগ্য অপরাধ।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান বলেন, লালপুর থানা-পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত ৮৩ জন ইমো হ্যাকারকে আটক করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র‍্যাব-৫, রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বছর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নাটোরের লালপুর, রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটনের চন্দ্রিমা থানায় র‍্যাবের অভিযানে ৫৫ জন ইমো হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, লালপুরে ইমো হ্যাকার প্রতারণা সিন্ডিকেটের বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আদালত থেকে মামলা হলে এই অভিযানের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। পুলিশ ও র‍্যাব একসঙ্গে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আনা হয়েছে। যেভাবে কাজ চলছে এতে অল্প সময়ের মধ্যে এ অঞ্চল থেকে এই চক্র উচ্ছেদ হয়ে যাবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ