ত্রিপুরা, আসাম, গোয়ার পর এবার মেঘালয়েও তৃণমূলের হাত ধরে বড় ধরনের ভাঙনের মুখে কংগ্রেস। ১১ জন সাংসদকে (বিধায়ক) সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করে গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মুকুল সাংমা। ফলে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৫ নেমে আসায় বিরোধী দলের মর্যাদাও হারাল কংগ্রেস।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুকুল সাংমা জানান, কংগ্রেসে থেকে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন সম্ভব নয়। তাই তাঁর দলবদল।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভায় ২১টি আসন নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেও সরকার গড়তে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস। কিন্তু আঞ্চলিক দল এনপিপি ১৯টি আসন পেয়ে বিজেপিসহ অন্য দলের সমর্থনে সরকার গঠন করে। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন।
মুকুলের অভিযোগ, দিল্লির হস্তক্ষেপের কারণে স্থানীয় কংগ্রেস বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ। দিল্লির নেতাদের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে খারাপ করেছে কংগ্রেস। দলটির বিধায়ক সংখ্যা এখন ২১ থেকে কমে ৭। আর এনপিপির ১৯ থেকে বেড়ে ২৩। এরপরেও শিক্ষা না নেওয়ায় তিনি দল ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, কংগ্রেসকে দুর্বল করে বিজেপির হাত শক্ত করছেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কারও দল ভাঙছেন না জানিয়ে যাঁরা তৃণমূলে আসতে চান, তাঁদের দিল্লি থেকে গত বুধবার স্বাগত জানিয়েছেন মমতা।