চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রোববার বিকেলে লাশবাহী গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা নাজিম উদ্দিন হায়দার, ছৈয়দ আহমদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, কর্ণফুলী ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ছাবের বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, কর্ণফুলী ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি মো. ইসমাইল মোসলমান, সহসভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সিএনজিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, কর্ণফুলী ট্রাক চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মুহাম্মদ ইকবাল, আজগর আলী পাপ্পু, সৈয়দ আহমদ, আবু বক্কর, মো. কামাল, মো. দস্তগীর, নুরনবী বালি প্রমুখ।
বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বাদ মাগরিব চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সৈন্ন্যারটেক গোষ্ঠী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে জাহাঙ্গীরকে দাফন করা হয়।
১১ নভেম্বর চরপাথরঘাটা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খুদ্যারটেক এলাকার অটোরিকশাচালক ইয়াছিনের সঙ্গে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় অটোরিকশাচালক ইয়াছিন তাঁর ভাই কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রুবেলকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। রুবেল দলবল নিয়ে এসে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনার ৯ দিন পর গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চমেক হাসপাতালের তাঁর মৃত্যু হয়।