হোম > ছাপা সংস্করণ

শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ্রাতৃত্বের গুরুত্ব

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউছুফ

মানবসমাজে শান্তি-সৌহার্দ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। আর সে জন্য প্রয়োজন মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইসলামে ভ্রাতৃত্বের ধারণা সর্বজনীন। রক্তের সম্পর্কের কারণে যেমন মানুষ ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তেমনি ইসলাম কিংবা বিশ্বনাগরিক হিসেবেও মানুষে-মানুষে আন্তরিকতা ও হৃদ্যতার সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থিতিশীল ও সুখময় সমাজ গঠনে ভ্রাতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

আত্মীয়তার সূত্রে ভ্রাতৃত্বের যে সম্পর্ক তৈরি হয়, তা রক্ষা করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। সুখে-দুঃখে রক্তের ভাইদের পাশে থাকতে, অসচ্ছল কেউ থাকলে তাকে সহায়তা করতে এবং নিয়মিত খোঁজখবর নিতে আদেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বুখারি: ৬১৩৮)

ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে প্রত্যেক মুসলমান ভাই ভাই। কারণ, তারা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য করে। ফলে তারা একে অপরের প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক পাশে থাকে। সহমর্মী ও সমব্যথী হয়। সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মোমিনরা ভাই ভাই।’ (সুরা হুজুরাত: ১০)

বিশ্বনাগরিক হওয়ার ভিত্তিতেও সব মানুষ ভাই ভাই। কারণ, সবাই হজরত আদম (আ.)-এর সন্তান। তাই সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা চাই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পার।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩)

শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আমাদের ভেতর ভ্রাতৃত্ববোধের মানস জাগ্রত করা এবং এর ব্যাপক চর্চা করা জরুরি।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউছুফ: আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ