হোম > ছাপা সংস্করণ

হাহাকারের ভিড়ে তিরন্দাজেই মুখরক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম হয়ে তুরস্কের কনিয়া-পরপর বড় দুই আসর শেষে দেশে ফেরার পথে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। কমনওয়েলথ ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমস থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির অংশে বলতে গেলে প্রায় পুরোটাই ফাঁকা। দেশের মুখরক্ষা করেছেন কেবল তিরন্দাজেরা।

কমনওয়েলথে ৭ ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা অংশ নিয়েছেন ১১ ডিসিপ্লিনে। কমনওয়েলথ গেমস থেকে কিছুই মেলেনি। সলিডারিটি গেমসে পদক এসেছে কেবল আর্চারি থেকে। আর্চারি ছাড়া আশার আলো দেখিয়েছেন কেবল স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান ও টেবিল টেনিসের খেলোয়াড়েরা। ইমরান জানান দিয়েছেন, সঠিক পরিচর্যার সুযোগ করে দিলে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটে বাংলাদেশকে বড় সাফল্য এনে সম্ভব তাঁর পক্ষে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ইমরানের বাংলাদেশের সেরা টাইমিং ১০ দশমিক ০১ সেকেন্ড সময় আর সেরা ছয়ে জায়গা করে নেওয়া অন্তত ইঙ্গিত করে সেটাই। ভালো মানের কোচ আর নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ করে দিলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব, সেই বার্তা মিলেছে টেবিল টেনিস থেকে।


তিন পদক আর একক প্রতিযোগিতায় সেরা আটে থাকাটা সম্মানজনক। তবে সারসংক্ষেপে একে সাফল্য বলা যাবে না। তুরস্কে আমাদের লক্ষ্য এমন ছিল না। যে লক্ষ্য ছিল সেটা পূরণ হয়নি।

সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের তিন পদকের সবগুলোই এসেছে আর্চারি থেকে। গেমসের শেষ দিনে লাল-সবুজের প্রতিনিধি হয়েছেন তিরন্দাজেরা। এক রুপা ও দুই ব্রোঞ্জ নিয়ে মুখরক্ষা করা গেলেও আসলেই কী সফল তিরন্দাজেরা। কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখের কথা অন্তত সেটা প্রমাণ করে না। আর্চারির জার্মান কোচ আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘তিন পদক আর একক প্রতিযোগিতায় সেরা আটে থাকাটা সম্মানজনক। তবে সারসংক্ষেপে একে সাফল্য বলা যাবে না। তুরস্কে আমাদের লক্ষ্য এমন ছিল না। যে লক্ষ্য ছিল সেটা পূরণ হয়নি।’

লক্ষ্য বলতে যে সোনা জয়কেই বুঝিয়েছেন ফ্রেডরিখ, তা ব্যাখ্যা না করলেও চলছে। সলিডারিটি গেমসে স্বাগতিক তুরস্কের পর আর্চারির রিকার্ভ ইভেন্টে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলটাই ছিল বাংলাদেশের। সেই দলটাই মূলত সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে কোচকে। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড—দুই ইভেন্টেই স্বাগতিক তুরস্কের কাছেই সবচেয়ে বেশি পদক হারিয়েছে বাংলাদেশ। রিকার্ভের নারী-পুরুষ ইভেন্টে দুই ব্রোঞ্জ এসেছে কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি খোদ তিরন্দাজেরাও। বছরজুড়েই বড় টুর্নামেন্টগুলোতে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা রোমান সানা-দিয়া সিদ্দিকীরা একক ইভেন্টে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। বরং আন্তর্জাতিক ইভেন্টে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞতা থাকা কম্পাউন্ডের নারী তিরন্দাজেরা এনে দিয়েছেন রুপা। যদিও তুরস্ক আর বাংলাদেশ ছাড়া কম্পাউন্ড নারীতে আর কোনো দলও ছিল না ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। থাকলে হয়তো এই পদকটাও পায় না বাংলাদেশ।

চীন, ভারতের মতো বড় দলগুলোর অনুপস্থিতির পরও সোনা জিততে না পারাটা কী আর্চারির জন্য কোনো অশনিসংকেত? একক ইভেন্টে আর্চারির পোস্টারবয় রোমান সানার খাবি খাওয়াটাও মনে জাগায় শঙ্কা। প্রিয় শিষ্যকে আড়াল করে আরও ভালো করার সুযোগ দেখছেন মার্টিন ফ্রেডরিখ। বললেন, ‘রোমান নিজেও ভালো করতে উন্মুখ। হয়তো এ কারণেই কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছে। সে নিজ থেকেই অনেক দায়িত্ব নিয়ে নেয়। সামনে আমাদের এশিয়া কাপ আছে। আমরা চাই, ঘুরে দাঁড়াতে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ