কক্সবাজারের টেকনাফে এক জালে ধরা পড়েছে ৭৫৫ কেজি ওজনের ২১০টি সুরমা মাছ। এসব মাছ স্থানীয়ভাবে মাইট্যা হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার বিকেলে সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের ফিশারিজ বাজারে তোলা হয় মাছগুলো।
ওই এলাকার সুলতান আহাম্মদের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলেরা সাগর থেকে ওই দিন দুপুরে ওই মাছগুলো ধরে। জানা গেছে, প্রতি দিনের মতো সোমবার ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যান জেলেরা। ভোর রাতে জাল ফেলেন তাঁরা। দুপুরে জাল তুলে দেখতে পান সেটি মাইট্যা মাছে ভরপুর।
পরে দেখা যায়, বড় ৪০টি প্রতিটি মাছের ওজন সাড়ে ৯ কেজি থেকে ১৫ কেজির মধ্যে। বাকি মাছগুলোর ওজন সাড়ে ৩ কেজি থেকে সাড়ে ৬ কেজি। সবগুলো মাছের ওজন ৭৫৫ কেজি। পরে ট্রলারের মালিক সুলতান আহাম্মদ এসব মাছ ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। চট্টগ্রামের স্থানীয় লোকজন এই মাছকে সুরমা (মাইট্যা) ও চাপা সুরমা নামে চেনেন।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শাহ পরীর দ্বীপে মাইট্যা ও চাপা (সুরমা) মাছ আটকা পড়ার খবর শুনেছি। এই মাছ খেতে খুব সুস্বাদু। মাইট্যা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Scomberomorus guttatus.
সরকার মাছের প্রজনন ও ডিম ছাড়ার সময়ে গত ৩ বছর ধরে ৬৫ দিন করে সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এই মৎস্য কর্মকর্তা মনে করেন, এর সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
একাধিক মৎস্য শিকারি জানান, বর্তমানে পর্যটন মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসছেন। খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে মাইট্যা মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ওই মাছগুলোর জন্য জন্য আগাম বুকিং দিয়েছে।