বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যত সামনে গড়াচ্ছে, বিকল্প ডিআরএস বা এডিআরএস নিয়ে বিতর্ক ততই বাড়ছে। সর্বশেষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশাল ম্যাচে জাকের আলী অনিকের বিপক্ষে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কম বিতর্ক হচ্ছে না!
ম্যাচের পর তুমুল সমালোচনার মুখে পরশু প্রায় মধ্যরাতে বিজ্ঞপ্তিতে জাকেরের আউটের ব্যাখ্যা দেয় বিসিবি। সেখানে তারা জানায়, টুর্নামেন্টের প্লেয়িং কন্ডিশন অ্যাপেনডিক্সের ডি-১ ধারা অনুযায়ী, বলের যেকোনো অংশ লাইনে থাকলেও সেটিকে ‘ইন লাইন’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ নিয়ম অনুযায়ী জাকের আউটই ছিলেন। বিসিবির ব্যাখ্যার পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, বিসিবির পক্ষ থেকে কি দলগুলোকে এই নিয়ম সম্পর্কে আগে থেকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়নি?
বিষয়টি নিয়ে বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের প্লেয়িং কন্ডিশন আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে (ফ্র্যাঞ্চাইজিদের)। এবার তাদের বোঝার জন্য আমরা এডিআরএস নিয়ে একটা ভিডিও প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। সব দলকে ডাকা হয়েছিল, অধিনায়কদেরও। অনেক অধিনায়ক তো আসেনি। তারা নিয়ম জানবে কোথা থেকে? তারা না জানতে চাইলে কী করতে পারি?’
শুধু অধিনায়ক নন, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তিনজন করে প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল। রকিবুলের দাবি, বেশির ভাগ দল খেলার নিয়মাবলি-সংবলিত নির্দেশিকা পড়ে না। তিনি বললেন, ‘প্রত্যেক দল থেকে কোচ, অধিনায়ক, ম্যানেজার—তিনজন করে ডাকা হয়েছিল। অনেক অধিনায়কই আসেনি। সাত দিন আগে প্লেয়িং কন্ডিশন সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া এবং তাদের হ্যান্ডবুকও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ম্যানেজাররা এটা পড়েই না। সব আম্পায়ারের এটা মুখস্থ। তারা খেলার আগেও এটা হোমওয়ার্ক করে যায়।’
খেলোয়াড়েরা যে এডিআরএসের নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নন, গতকাল সেটা বোঝা গেল আকবর আলীর কথায়। আজ ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই উইকেটকিপার-ব্যাটার বলছিলেন, ‘জানতাম, বিপিএলে আন্তর্জাতিক নিয়মে খেলা হচ্ছে, আমাকে প্রশ্ন করলে মনে হয় না আমি উত্তর দিতে পারব।’