চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আটক হওয়া মাসুদ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে মূলক পরীক্ষার্থী জুলকার নাইনকেও আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী মডেল থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুজনের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের ‘পাবলিক পরীক্ষা আইন (অপরাধ) ’-এর ৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার বিকেলে ডি ইউনিটের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কলা পাঠকক্ষ থেকে মাসুদকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে রাতে প্রক্টরিয়াল বডি আবার তাঁকে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন মাসুদ।
জুলকারনাইন শাহী নামের এক ভর্তি ইচ্ছুকের পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন মাসুদ সরকার (২৫)। মাসুদ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দহবন্ধ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি কারমাইকেল কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা জুলকারনাইন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি মাসুদের মোবাইল, ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ঘেঁটে বেশি কিছু তথ্য পেয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি। যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকার লেনদের প্রমাণ পাওয়া যায়।