ঘাটাইলে ১৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের সময় দুই ব্যাক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর বাবা দুজনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা করেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে গাজীপুরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তাকে চাকরির প্রস্তাব দেন ঘাটাইলের মো. মোস্তফা (২৫)। গত বুধবার দুপুরে চাকরির বিষয়ে আলোচনার কথা বলে মোস্তাফা তাকে গাজীপুরের চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলেন।
ওই ছাত্রী চন্দ্রা গেলে রাত আটটার দিকে সেখান থেকে মোস্তফা তাকে নিয়ে ঘাটাইলের নিজ গ্রামে চলে যান। সেখানে মোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামের আরেক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন তাঁরা। মোস্তফা তাকে জানান যে, মোফাজ্জলের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাকে চাকরি দেওয়া হবে। চাকরির আশায় ওই ছাত্রী মোফাজ্জলের বাড়িতে যেতে রাজি হন।
এজহারে উল্লেখ করা হয়, রাতে ঘুমানোর জন্য ওই ছাত্রীকে একটি আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন মোফাজ্জল। রাত ১১টার দিকে দুজন তার ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে মোস্তফা ও মোফাজ্জলকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’